Saturday, August 8, 2020

হুটহাটে/রাঙতায় ব্যবসা করব কীভাবে?

জানেন নিশ্চয়ই, হুটহাট হচ্ছে মেয়ে নেটওয়ার্কের কেনাবেচার গ্রুপ। আর রাঙতা হচ্ছে সেই গ্রুপ থেকে আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলা। লোকমুখে যারা হুটহাট বা রাঙতার কথা শোনেন, তারা প্রায়ই জানতে চান এখানে যুক্ত হবেন কীভাবে। নিয়মিত যেসব প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে দিতে হয় সেগুলো এখানে উত্তরসহ গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করছি। 

(১) রাঙতা মেলায় স্টল নিতে চাই। কী করব?

মেলার আগে রাঙতা পেইজে ফর্ম ছাড়া হয়। সেই ফর্ম পূরণ করে স্টল নেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে স্টল নির্বাচনে হুটহাটের উদ্যোক্তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে বাইরের কম উদ্যোক্তাকেই মেলায় নেওয়া সম্ভব হয়।

(২) হুটহাটে যোগ দিতে চাই। কী করব?

আপনি যদি একজন নারী হন, প্রথমে মেয়ে নেটওয়ার্কের সাপোর্ট গ্রুপ সিস্টারহুডে যোগ দিন। সেখান থেকে সরাসরি হুটহাটে যোগ দিতে পারবেন।

(৩) সিস্টারহুডে যোগ দিবো কেন?

কারণ সিস্টারহুড মেয়ে নেটওয়ার্কের মূল অনলাইন প্রকল্প। সিস্টারহুডে না থাকলে আপনি মেয়ে নেটওয়ার্কের মূল ভাবনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন, এবং শুধুমাত্র মুনাফামুখী থাকবেন। হুটহাট/রাঙতা মেয়ে নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ছোট প্রকল্প। আমরা চাই না আপনার চিন্তা আর কাজ এই ছোট পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকুক। মেয়ে নেটওয়ার্কের মূল লক্ষ্য নারীর ঐক্য, নেতৃত্ব ও জেন্ডারের সাম্য। সিস্টারহুডে এগুলো নিয়ে আলাপ এবং কাজ হয়। আমরা আশা করি আমাদের সকল উদ্যোক্তা মেয়ে নেটওয়ার্কের মূল লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। এজন্য সকল নারী উদ্যোক্তাকে সিস্টারহুডে সময়, চিন্তা ও শ্রম দিতে বলা হয়।  

(৪) নারী না এমন কেউ যদি হুটহাটে ব্যবসা করতে চায় সে কী করবে? সে নিশ্চয়ই সিস্টারহুডে যোগ দেবে না।

নারী নন এমন কেউ হুটহাটে ব্যবসা করতে চাইলে তাকে মেয়ে নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্য কোনো নারী সদস্যের মাধ্যমে আসতে হবে।

(৫) হুটহাটে যোগ দেওয়ার কতদিন পরে ব্যবসা শুরু করা যাবে?

হুটহাটে যোগ দেওয়ার এক মাস পরে আপনি নিবন্ধনের আবেদন জানাতে পারবেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনি হুটহাটে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

(৬) হুটহাটের নিবন্ধিত উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কী?

প্রথমে নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এরপর পরবর্তী ধাপ ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। ২০২০-২১ সালের নিবন্ধন ফর্ম পেতে ক্লিক করুন এখানে। আপনি যদি নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেন, আপনাকে মাসের প্রথম সপ্তাহে ইমেইল পাঠিয়ে পরবর্তী ধাপগুলো জানানো হবে।

 (৭) আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কাকে, কোথায়, কীভাবে জিজ্ঞেস করব?

রাঙতা পেইজে মেসেজ পাঠাবেন কিংবা rangta.melaa@gmail.com-এ ইমেইল পাঠাবেন। 

Friday, March 9, 2018

রাঙতা ২০১৮ প্রেস বিজ্ঞপ্তি (Rangta 2018 Press Briefing)


রাঙতা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর: http://meye2012.blogspot.com/2018/03/blog-post.html


বাংলা প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ধানমন্ডিতে ‘মেয়ে’ আয়োজিত দেশি উদ্যোক্তা মেলা ‘রাঙতা’

বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আসন্ন ৬ ও ৭ এপ্রিল তারিখে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাভাষী নারীদের নেটওয়ার্ক 'মেয়ে' আয়োজিত বাংলাদেশি উদ্যোগের মেলা ‘রাঙতা’।

যেকোনো উদ্যোগের শুরুটা হয় ভালোলাগা থেকে। এই ভালোলাগাকে পুঁজি করে পথ চলা কিছু উদ্যোক্তা বন্ধুর যৌথ আয়োজন ‘রাঙতা’।

‘মেয়ে’ বাংলাভাষী নারীদের নিয়ে মিলেমিশে গড়ে ওঠা একটি অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক। মেয়েদের বন্ধুতা, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ ‘মেয়ে’র প্রতিপাদ্য। ২০১১ সালের জুনে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে যাত্রা শুরু করে অনলাইন থেকে অফলাইনে সম্মিলিত মত বিনিময়, ভাবনার বিকাশ ও উদ্যোগের প্রসারের মধ্য দিয়ে গত সাড়ে ৬ বছরে প্রায় ৬ হাজার নারীর নির্ভরতার ঠাঁই হয়ে উঠেছে ‘মেয়ে’। যুগ যুগ ধরে নারীকে যে নীরবতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তার দেয়ালে নিজেদের সোচ্চার কণ্ঠ দিয়ে ফাটল ধরাতে মেয়েদেরকে একত্রিত করে বিশাল এক পরিবার হয়ে উঠেছে ‘মেয়ে’। সময়ের সাথে সেই পরিবারে যোগ দিয়েছেন পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ‘মেয়ে’র অনেক অনেক উদ্যোগের মাঝে একটি হলো ‘রাঙতা’ নামের মেলাটি। 'মেয়ে' বিশ্বাস করে নারীর ক্ষমতায়নে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার কোনো বিকল্প নেই। সেই ভাবনা আর আলোচনার সূত্রে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে কিছু নবীন উদ্যোক্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম মেলাটি। প্রথম মেলার অভাবনীয় সাফল্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে 'মেয়ে'র নতুন শাখা 'হুটহাট'-এর সৃষ্টি ও প্রসারে উৎসাহ জুগিয়েছে। ব্যবসায়িক মুনাফা নয়, বরং ভালোলাগা এবং মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ক্রেতাবিক্রেতার সমাহার সৃষ্টি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন 'রাঙতা'র সাফল্যের মূলমন্ত্র। তাই বাজারচলতি বিদেশি পণ্যের ভিড়ে একান্তই নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা নিয়ে ব্যতিক্রমী পথে হেঁটে চলেছে 'রাঙতা'। 'মেয়ে' থেকে যাত্রা শুরু করলেও হুটহাট এবং রাঙতায় ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে লিঙ্গনির্বিশেষে সকল মানুষ আমন্ত্রিত। 

প্রাণের টানে, শখ ও স্বাতন্ত্র্যকে পুঁজি করে ২০১৩-তে যে রাঙতার পথচলা শুরু, তিন বছরে শখের গণ্ডি পেরিয়ে তা আরো বিস্তৃত ও পেশাদার হওয়ার সম্মিলিত সাহস অর্জন করেছে। এবারের রাঙতা আয়োজিত হচ্ছে দ্বিগুণ কলেবরে, আরো বিস্তৃত পরিকল্পনা নিয়ে। বরাবরের মতো এবারও মেলাতে অংশগ্রহণ করছেন মেয়ে নেটওয়ার্কের উদ্যোক্তা শাখা "হুটহাট"-এর কয়েকজন অনন্য উদ্যোক্তা। সেই সঙ্গে যোগ দিচ্ছে হুটহাটের বাইরের কিছু আনকোরা উদ্যোক্তা। মেয়ের নিজস্ব স্টলসহ মোট ৪৪টি স্টলে নিজেদের পণ্যের পসরা সাজাবে ৫৫টি উদ্যোগ। পাওয়া যাবে নতুন-পুরাতন বই, গাছ, হরেক রকম খাবার, মসলা, ছোট বড় সকলের জন্য নিজস্ব নকশার জামাকাপড়, দেশীয় তাঁতের শাড়ি, দেশি জামদানি, কাতান, নকশিকাঁথা শাড়ি, হাতে বানানো গয়না, রংতুলিতে আঁকা পোশাক, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, চামড়াজাত পণ্য, ব্যাগ, জুতো, নির্ভরযোগ্য কসমেটিকস, খেলনা, পেইন্টিং এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা। এবার প্রথমবারের মতো মেলায় কার্ডে মূল্য পরিশোধের সুবিধা রাখা হবে। সেই সঙ্গে থাকবে বাড়িতে মেলার পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা।

এছাড়া এবারের রাঙতা মেলায় প্রথমবারের মতো চিত্রপ্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। সেটা আর্যর জন্য। ২০১৫ সাথে মাত্র চার বছর বয়সে আর্যর মাথায় ধরা পড়ে ব্রেইন টিউমার। বর্তমানে সাত বছরের ছোট্ট আর্য ব্রেইন টিউমার আর ক্যানসারকে পরাজিত করে দেশে ফিরেছে। তবে তাকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ। সেই পথ বেদনার এবং ব্যয়বহুল। আর্যর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তার বাবা শিল্পী বিপ্লব ভট্টাচার্যর আঁকা ১৫টি ছবি এবার রাঙতায় আনা হবে।

'মেয়ে'র পক্ষ থেকে এবারের মেলার আয়োজন করছেন তৃষিয়া নাশতারান, স্মিতা দাস এবং সাবরিনা আমান রিভী। আর্যর জন্য চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করছে গোপা আর্টে অ্যান্ড ক্রাফটের পক্ষ থেকে সারাওয়াত ইকবাল তেষা। সহযোগিতায় রয়েছেন অনন্যা রুবাইয়াত। সহ ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ৬ ও ৭ এপ্রিল দুইদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। এক ঝাঁক ঝকঝকে উদ্যোগের সাথে পরিচিত হতে, বৈশাখের জন্য অভিনব কিছু পণ্য কিনতে, কিংবা নিছক আড্ডা দিতে সকলে আমন্ত্রিত এই প্রাণের মেলায়।

উল্লেখ্য, 
• এই মেলা হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য।
• শিশুদের মায়ের দুধ পানের জন্য আলাদা স্থান সরবরাহ করা হবে।
• মেলাস্থলে ধূমপান নিষেধ।
• উদ্যোক্তারা ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করেন। মেলায় তাই দরদাম নিরুৎসাহিত করা হবে।
এই মেলায় কোনো পাকিস্তানি পণ্য পাওয়া যাবে না।

রাঙতা মেলা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে যোগাযোগ করুন রাঙতার ফেসবুক পেইজে। 


ENGLISH PRESS BRIEFING


‘Rangta’, a fair organized by Meye Network to promote Bangladeshi Entrepreneurs to be held at Dhanmondi



In celebration of upcoming Bengali New Year, for the fifth time “Meye” network brings to you Rangta, a unique fair celebrating passion and entrepreneurship. The fair is going to take place at Midas Centre, Dhanmondi on the 6th and 7th of April this year. 

Any artistic endeavor begins from the passion for creativity. Such collaborative passion of a group of friends laid the first stepping stone for Rangta.

Meye (Bangla for Girl), is a non-profit, voluntary, and organic network of Bengali speaking women, advocating women’s solidarity, empowerment and leadership. Founded in 2011, Meye has created a community of over six thousand women to date. Meye strives to sustain a non-judgmental environment for not only women but people of all genders from all walks of life, enabling them to brainstorm together in order to generate ideas, and to establish a platform to implement them. In the last six and a half years it has become a trustworthy support system of around 6,000 women in home and abroad. “Meye” is a true believer of the idea that to empower women there is no alternative to financial freedom. This vision led “Meye” to organize the first fair in October, 2013 with a handful of fresh entrepreneurs from the network naming it "Rangtaa", success of which exceeded all our expectations. This success led “Meye” to create a new group as a dedicated online marketplace – “Hoothaat”. 

“Hoothaat” is not just any profit oriented online shopping group. Rather, creating a common ground for passion and principle is the driving force of this group which is dedicated to operating a network of innovative entrepreneurship through qualitative filtering and friendly interactions among buyers and sellers, bringing quality products by Bangladeshi entrepreneurs. This is the reason why when our markets are flooded with exported products “Rangta” stands tall with its unique and creative products. Even though “Meye” started as a women only network, people of all genders are welcome in “Hoothaat”, “Rangta” and all other offline initiatives.

The passion, that drove “Rangta” to take its first baby step in 2013, today has become an amazing success story of entrepreneurship and innovative Bangladeshi products. This is the power of passion, vision and togetherness which gave Rangta the courage to take a professional shape and extend its horizon. This year Rangta is going stronger with doubled capacity and extended planning. The 55 vendors in this year’s “Rangta” will be entrepreneurs from “Hoothaat” as well as some like-minded guest entrepreneurs, who will arrange a colossal variety of unique local products in 44 stalls. The products will include new and old books, plants, food, spices, clothing for all age range, handwoven cotton sarees, Jamdani, Katan, Nakshikantha sarees handmade jewelries, hand painted dresses, household items, leather goods, bags, shoes, authentic cosmetics, toys, paintings and services. For the very first time, buyers can make payments using debit or credit cards. We will even provide home delivery service on request. ‘Rangta’ will take place at the Midas center in Dhanmondi on the 6th and 7th of April. The fair will be open from 10 a.m. to 9 p.m.

Besides, for the very first time, there is going to be an art exhibition at Rangta. The exhibition will display 15 watercolor paintings by artist Biplab Bhattacharya. All proceeds collected from the sale of these paintings will contribute to the treatment of Biplab's 7 years old son Arya, who was diagnosed with cancer and brain tumor 3 years back.

The organizing committee of this year’s Rangta includes three members of the network; Trishia Nashtaran, Smita Das and Sabrina Aman Reevy. The art exhibition has been executed by Sarawat Iqbal Tesha on behalf of Gopa Art and Craft, and assisted by Ananya Rubayat. You are cordially invited to be introduced to some refreshingly unique entrepreneurs, to get mesmerized by their creation with an opportunity to make them your own, or simply to hang out with friends in our most loved and long awaited festival.

PLEASE NOTE:

• THE VENUE IS WHEELCHAIR ACCESSIBLE.

• WE WILL HAVE A CORNER FOR NURSING MOTHERS.

• THIS IS A NON-SMOKING FAIR.

• NO BARGAINING.

PAKISTANI PRODUCTS WILL NOT BE AVAILABLE IN THIS FAIR.

Please, contact our facebook page for further queries. 

ইদ রাঙতা মেলা ২০১৮ প্রশ্নোত্তর

যেকোনো উদ্যোগের শুরুটা হয় ভালো লাগা থেকে। সেই ভালো লাগাকে পুঁজি করে পথ চলা কিছু বন্ধুর যৌথ আয়োজন 'রাঙতা'র ষষ্ঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই আয়োজন সম্পর্কে পাওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর রইলো এখানে।

রাঙতা কী? 
রাঙতা হলো মেয়ে নেটওয়ার্কের আয়োজনে বার্ষিক উদ্যোক্তা মেলা।

'মেয়ে নেটওয়ার্ক' কী?
মেয়েবাংলাভাষী নারীদের নিয়ে মিলেমিশে গড়ে ওঠা একটি অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক। মেয়েদের বন্ধুতা, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ মেয়ের প্রতিপাদ্য। ২০১১ সালের জুনে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে যাত্রা শুরু করে অনলাইন থেকে অফলাইনে সম্মিলিত মত বিনিময়, ভাবনার বিকাশ ও উদ্যোগের প্রসারের মধ্য দিয়ে গত সাড়ে ৬ বছরে প্রায় ৬ হাজার নারীর নির্ভরতার ঠাঁই হয়ে উঠেছে মেয়েযুগ যুগ ধরে নারীকে যে নীরবতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তার দেয়ালে নিজেদের সোচ্চার কণ্ঠ দিয়ে ফাটল ধরাতে মেয়েদেরকে একত্রিত করে বিশাল এক পরিবার হয়ে উঠেছে মেয়ে নেটওয়ার্ক। মেয়ে নেটওয়ার্কের চিন্তা ও কাজের ধারা সম্পর্কে ধারণা পেতে আমাদের পেইজ ঘুরে আসতে পারেন। লিংক- https://www.facebook.com/meyenetwork/

রাঙতা নামের তাৎপর্য কী?
রাংতা হলো দস্তার পাতলা কাগজ যা মোড়ক হিসেবে, সাজানোর সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের মেলাটা ভীষণ ঘরোয়া পরিবেশে আটপৌরে ভঙ্গিতে শুরু হয়েছিলো, যেন একটা পারিবারিক উৎসব। মেলার জন্য নাম খোঁজার সময় শৈশবের রাংতা দিয়ে সাজানো আটপৌরে আয়োজনের স্মৃতি থেকে শব্দটা স্থান করে নিয়েছিল।

বানানটা রাঙতা কেন? রাংতা কেন নয়?
শব্দটাকে স্বাতন্ত্র্য দেওয়ার জন্য।

রাঙতার আয়োজক কে/কারা?
রাঙতার আয়োজন মেয়ে নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের ব্যবসায়িক দল "হুটহাট" থেকে রাঙতা আহ্বান করা হয়ে থাকে। একেক বছর মেয়ে নেটওয়ার্কের একেক সদস্য মেলার আয়োজন করে থাকেন।এবারের মেলার আয়োজনের কাজ করছেন স্মিতা দাস এবং সাবরিনা আমান রিভী।

হুটহাট কী?
মেয়ে নেটওয়ার্কের ব্যবসায়িক দল, যা কেনাবেচা বিনিময় বিজ্ঞাপন রিভিউ ইত্যাদি পণ্য সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত। ২০১৩ সালে আয়োজিত প্রথম রাঙতা মেলার অভাবনীয় সাফল্যের পর অনেক উদ্যোক্তা মেয়ে নেটওয়ার্কের সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমাদের মূল আলোচনার দলটিকে ব্যবসামুক্ত রেখে উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়া বজায় রাখতে হুটহাট দলটি খোলা হয়েছিল।

রাঙতা মেলা কেন করা হয়?
বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধি, ক্রেতা তৈরি এবং দেশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাঙতা মেলা শুরু হয়েছিল। এছাড়া বর্তমানে এটি মেয়ে নেটওয়ার্কের ব্যয়ভার বহনের অন্যতম উৎস।

রাঙতার সূচনার পটভূমি কী?
রাঙতা যখন শুরু হয় তখন বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় যেসব মেলা হলো তা বিদেশি (মূলত পাকিস্তানি) পণ্যে সয়লাব থাকত। বাংলাদেশি পণ্য সেখানে কোণঠাসা হয়ে পড়ত। এমনকি ক্রেতারাও বাংলাদেশি পণ্য দেখে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। উদ্যোক্তা বন্ধুদের প্রতিকূল অভিজ্ঞতা শুনে মানসম্মত বাংলাদেশি পণ্যকে উৎসাহ জোগাতে প্রথম রাঙতার আয়োজন করা হয়।

বছরে কয়বার রাঙতা মেলা হয়? কেন?
রাঙতা বছরে একবার করা হয়ে থাকে। কারণ বছর জুড়ে মেয়ে নেটওয়ার্কের বিভিন্ন শাখার আরো বিভিন্ন আয়োজন থাকে। তাছাড়া মান বজায় রেখে রাঙতা করতে প্রস্তুতির জন্য সময় নিতে হয়। এবার প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে একই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো রাঙতার আয়োজন করা হচ্ছে। 

রাঙতা মেলা কবে শুরু হয়েছে? এর আগে কতবার রাঙতা মেলা আয়োজিত হয়েছে?
২০১৩ সালের ৪ ও ৫ অক্টোবরে প্রথম রাঙতা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৫ সাল বাদ দিয়ে প্রতি বছর, অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট ছয়বার রাঙতা আয়োজিত হয়েছে।

অন্যান্য মেলার থেকে রাঙতা কেন আলাদা?
রাঙতা শুধু ব্যবসায়িক মেলা নয়। রাঙতায় উদ্যোক্তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নন, বরং সহযোগী বন্ধু। সেই সঙ্গে রাঙতা মেয়ে নেটওয়ার্কের বার্ষিক মিলনমেলা এবং আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করে। ক্রেতা, বিক্রেতা এবং আয়োজকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন স্বচ্ছ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং বজায় রাখতে রাঙতা মেলা সঞ্জীবনী শক্তি সঞ্চার করে থাকে।

রাঙতা মেলায় কতটি স্টল রাখা হয়? এবারের মেলায় কি কোনো স্টল খালি আছে?
একেকবার স্টলের সংখ্যা একেকরকম হয়। সাধারণত মেলার দুই মাস আগেই সব স্টল পূর্ণ হয়ে যায়।

এবারের রাঙতা মেলা কবে, কখন, কোথায়?
ইদকে সামনে রেখে আসন্ন ১ ও ২ জুন তারিখে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এবারের রাঙতা মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। 

এবারের রাঙতায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে কী করতে হবে?
রাঙতায় চলে আসতে হবে বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে। সব স্টল অনেক আগেই বুক হয়ে গেছে। উদ্যোক্তা হিসেবে আর কাউকে নেওয়ার সুযোগ তাই আর নেই। তবে মেলায় ঘুরতে আসতে পারবেন যে কেউ।

এই মেলা বিষয়ে সবাইকে জানানোর জন্য কী ব্যবস্থা করা হয়?
রাঙতা পেইজ থেকে পাবলিক ইভেন্ট তৈরি করে মেয়ে নেটওয়ার্কের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ইভেন্ট লিংক- https://www.facebook.com/events/230642164355022/

কী ধরনের পণ্য রাঙতায় অগ্রাধিকার পায়?
দেশে উৎপাদিত কিংবা প্রক্রিয়াজাত করা পণ্য যার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তার অনন্যতা প্রকাশ পায়।

এবারের মেলায় কী কী পণ্য পাওয়া যাবে?
নতুন-পুরাতন বই, হরেক রকম খাবার, মসলা, ছোট বড় সকলের জন্য নিজস্ব নকশার জামাকাপড়, দেশীয় তাঁতের শাড়ি, দেশি জামদানি, কাতান, নকশিকাঁথা শাড়ি, হাতে বানানো গয়না, রংতুলিতে আঁকা পোশাক, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য ব্যাগ, জুতো, নির্ভরযোগ্য কসমেটিকস, খেলনা, পেইন্টিং এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা।

রাঙতায় কি বিদেশি পণ্য বিক্রি হয়?
সীমিত পরিসরে হয়। মেয়ে নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্য হাতে গোনা কজন উদ্যোক্তা রাঙতায় নির্বাচিত বিদেশি পণ্যের স্টল নেওয়ার সুযোগ পান।

রাঙতায় শুধু পাকিস্তানি পণ্য নিষেধ কেন? ভারতীয় পণ্য কেন নয়? এটি কি রেসিস্ট আচরণ নয়?
আমরা পাকিস্তানের সাথে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে। ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে নই। এ কারণে রাঙতায় পাকিস্তানি পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং ভারতীয় পণ্য বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া না রাখার পক্ষে। ভারতের বিশাল বাজারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা পারব না। তাই ভারতীয় পণ্য বেচতে নিরুৎসাহিত করি আমরা। পাকিস্তানের বেলায় চিন্তাটা ভিন্ন। পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বর্জনের কারণটা রাজনৈতিক। তাই বলে আমরা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করি না। আমাদের এই অবস্থান তাই রেসিস্ট নয়। যেহেতু পাকিস্তান এবং ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের বিধিনিষেধের কারণ এক নয়, সেহেতু আমরা পোস্টারে এই দুই দেশের নাম পাশাপাশি লিখি না। 

রাঙতা মেলার জন্য আলাদা স্পন্সর নেওয়া হয়? কেন?
না। প্রয়োজন হয় না।

রাঙতায় স্টল নিতে চাইলে কী করতে হবে?
হুটহাটে যোগ দিলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ সব পরিকল্পনা আর খবরাখবর সবার আগে ওখানে যায়। এছাড়া রাঙতা পেইজে নজর রাখলে মেলার ঘোষণা জানতে পারবেন।

হুটহাটে যোগ দেওয়ার উপায় কী?
তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জয়েন রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। প্রশ্নগুলোর উত্তর গ্রুপের বর্ণনায় এবং প্রশ্নের সঙ্গে পেয়ে যাবেন। মন দিয়ে পড়ে বুঝে নিতে হবে।
গ্রুপের লিংক- https://www.facebook.com/groups/hoot.haat/

হুটহাটে এবং রাঙতায় কি শুধু নারী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করতে পারে?
না। লিঙ্গনির্বিশেষে সব মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে মেয়ে নেটওয়ার্কের কারো রেফারেন্স থাকতে হবে।

রাঙতায় কি শুধু নারীরা আসতে পারবে?
না। লিঙ্গনির্বিশেষে সব মানুষ মেলায় আসতে পারবেন।

রাঙতায় অংশগ্রহণের বয়সসীমা কী?
কোনো বয়সসীমা নেই।

মেয়ে নেটওয়ার্কের মেলায় ছেলেদের অংশগ্রহণ কেন?
কারণ আমরা সর্বত্র নারীপুরুষ সবার সহাবস্থানে বিশ্বাসী।

নারী/নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কি রাঙতায় ডিসকাউন্ট আছে?
পুরো নেটওয়ার্ক যেহেতু নারীদের, সেহেতু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা কোনো ডিসকাউন্ট নেই। রাঙতার ডিসকাউন্ট জেন্ডার বা ব্যবসার মেয়াদের উপর নয়, বরং ব্যবসার ধরন এবং হুটহাটে ও রাঙতায় অংশগ্রহণের গুণগত মানের উপর নির্ভরশীল।

রাঙতায় কি শিশুদের আনা যাবে? বয়সসীমা কত?
সববয়েসি শিশুদের আনা যাবে। মেলাস্থলে ডে কেয়ারের সুবিধা থাকবে। দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মায়ের দুধ পানের ব্যবস্থাও থাকবে রাঙতায়।

রাঙতায় কি হুইলচেয়ারে যাওয়ার মতো অবকাঠামো আছে?
আছে। হুইলচেয়ারবান্ধব র‍্যাম্প এবং লিফট আছে।

রাঙতায় বয়স্কদের বিশ্রাম নেবার কোনো সুবিধা থাকছে কি?
থাকবে।

রাঙতায় কি ধূমপানের জায়গা থাকবে?
না। ধূমপানের প্রয়োজন বোধ করলে বাইরে যেতে হবে।

রাঙতায় কি প্রার্থনার জায়গা থাকবে?
থাকবে।

রাঙতার পণ্যের মূল্য কেমন হয়ে থাকে?
যেটুকু না হলেই নয়।

রাঙতায় কি দরদামের সুযোগ থাকবে?
না।

রাঙতায় কি ক্রেতাদের জন্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা থাকবে?
রাঙতার জরিপে যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের জন্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা থাকবে।

রাঙতায় কি কার্ডে পে করার ব্যবস্থা থাকবে?
থাকবে।

রাঙতায় কি কোনো পণ্য বুক করে যাখা যাবে?
যাবে। তবে রাঙতায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে কিছু অগ্রীম বুকিং দিতে হবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্ট শর্তে বাড়ির ঠিকানায় সেটি পৌঁছে দেওয়া হবে।

রাঙতার ব্যবসায়িক সাফল্যের কারণ কী?
ক্রেতা বিক্রেতার বন্ধুতা এবং আস্থার সম্পর্ক। রাঙতায় যারা আসেন তারা সাধারণত কেনার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই আসেন। হুটহাটে ক্রেতাবিক্রেতার সরাসরি যোগাযোগের কারণে ক্রেতার চাহিদা সম্পর্কে বিক্রেতাদের ধারণা থাকে। সে অনুযায়ী পণ্য মেলায় আনা হয়। ক্রেতারাও জানেন যে ভালো দামে ভালো পণ্য তারা পাচ্ছেন। তাই বিক্রি ভালো হয় এবং মেলা সফল হয়।

রাঙতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বার্ষিক মেলা থেকে রাঙতার পরিসর বৃদ্ধি করা।

রাঙতা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের উপায় কী?
রাঙতা পেইজে। লিংক- https://www.facebook.com/Rangtaa2013/

Monday, February 26, 2018

হাওয়াইমিঠাই (HawaiMithai)-এর আচরণবিধি



হাওয়াইমিঠাই 'মেয়ে' নেটওয়ার্ক'-এর আওতায় বাংলাভাষী নারীদের লাইফস্টাইল গ্রুপ। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রাত্যহিক অনুষঙ্গ নিয়ে হাওয়াইমিঠাইয়ের মতো ফুরফুরে মজাদার হালকা আলোচনা হবে এখানে। এসব আলোচনা করতে কিংবা দেখতে আগ্রহী মেয়েরা এখানে যোগ দেবেন। গ্রুপের সকল সদস্যকে মেয়ে নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে এবং আচরণবিধি মানতে হবে। আচরণবিধি পড়েবুঝেমেনে নিয়ে আপনি গ্রুপে আছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। আচরণবিধি না পড়ার কারণে যদি নিয়ম না জেনে থাকেনএবং নিয়ম ভাঙেনসেক্ষেত্রে আপনার পোস্ট বা কমেন্ট মুছে দেওয়ারপ্রয়োজনে আপনাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ বা ব্যান করার অধিকার অ্যাডমিনরা সংরক্ষণ করেন। নিয়ম মানতে না পারলে নির্বিবাদে গ্রুপ ত্যাগ করবেন। এই আচরণবিধি অ্যাডমিনমডারেটরস্বেচ্ছাসেবী সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

কোনো প্রশ্ন বা অভিযোগ থাকলে হাওয়াইমিঠাই পেইজে মেসেজ দেবেন। অ্যাডমিন বা মডারেটরদেরকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ দেবেন না। মেয়ে পেইজের লিংক- https://www.facebook.com/hawaimithai21116/


পরিস্থিতির প্রয়োজনে গ্রুপের আচরণবিধি নিয়মিত পরিমার্জন করা হবে। হাওয়াইমিঠাইয়ের কিছু মৌলিক বিধিনিষেধ রইলো এখানে:


তথ্য

  • এই গ্রুপের তথ্য গ্রুপের বাইরে প্রকাশ করতে চাইলে অবশ্যই তথ্যদাতা এবং অ্যাডমিনদের অনুমতি নেবেন।
আলাপ 
  • খোলামনে আলাপ করার, পরস্পরকে সাহায্য করার মানসিকতা রাখতে হবে। কাউকে আঘাত করে (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) কিছু বলা যাবে না।
  • রেসিজম, সেক্সিজম, হোমোফোবিয়া, ছাগুত্ব, পাকিপ্রেম ইত্যাদির বিপক্ষে কঠোর অবস্থান থাকবে আমাদের। এই শব্দগুলোর অর্থ ও তাৎপর্য নিজ দায়িত্বে জেনে নেবেন।
  • গায়ের রঙ, বয়স, চেহারা, উচ্চতা, অসুস্থতা ইত্যাদি যেসব বিষয় প্রকৃতিপ্রদত্ত এবং অপরিবর্তনীয় সেগুলো নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না।
  • ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি গুরুতর আলাপ এখানে করবেন না। তার জন্য 'মেয়ে: a sisterhood' আছে।
  • ধর্মীয় আলাপ বা ধর্মপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। ধর্মীয় আলাপের জন্য আলাদা গ্রুপ আছে আমাদের।
  • হোক্স (মিথ্যা খবর) শেয়ার করবেন না। কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। সেলিব্রেটিদের নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
  • কোনো পোস্ট ফলো করতে পোস্টের ডানে উপরের কোনায় ক্লিক করে Turn on notification চাপুন, কিংবা প্রাসঙ্গিক কমেন্ট করুন। F লিখবেন না।
  • কোন সদস্যকে তাঁর পোস্টের বা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুক পেইজের লিঙ্ক দিয়ে সাহায্য করতে চাইলে সেই লিঙ্ক পোস্টে না দিয়ে তাঁর ইনবক্সে প্রদান করুন।
  • চেষ্টা করুন বাংলায় আলাপ করতে (বাংলিশে না)। ইংলিশও চলবে।


ছবি
  • ছবি শেয়ার করতে সংযত থাকুন। একাধিক ছবি দিতে হলে কোলাজ কিংবা স্লাইডশো করে দিন।  (কীভাবে কোলাজ করবেন: যারা মোবাইল/ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তাঁরা অ্যাপ সেন্টারে গিয়ে 'Collage maker app' লিখে অনুসন্ধানে দিন, তারপর পছন্দসই অ্যাপ নামিয়ে ছবি কোলাজ করুন। আর যারা ডেস্কটপ ব্যবহার করেন, তাঁরা গুগল করুন 'Collage maker' লিখে এবং অনুসন্ধানের ফলাফল অনুসরণ করুন।)
  • নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া সেলফি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। 
  • অপ্রাসঙ্গিক কিংবা অহেতুক ছবি পোস্ট করবেন না। ছবির সাথে অন্তত দু লাইনের বর্ণনা কিংবা প্রাসঙ্গিক গল্পটা জুড়ে দিন। সাজের ছবির সাথে সাজের পদ্ধতি লিখে দিন। রান্নার ছবির সাথে রেসিপি লিখে দিন। সবার কাজে আসে এমন ক্যাপশন বা রেসিপি ছাড়া ছবি দেবেন না।
  • বিনা অনুমতিতে অন্যের ছবি শেয়ার করবেন না। সাজপোশাকের রেফারেন্স হিসেবে অন্যের public ছবি শেয়ার করা যাবে। সেক্ষেত্রে পাবলিক লিংক শেয়ার করতে হবে, কিংবা এমনভাবে স্ক্রিনশট নিতে হবে যাতে ছবিটি যে public তা বোঝা যায়।
  • এমন কোনো ছবি বা ভিডিও শেয়ার করবেন না যা অন্যদের অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
  • এমন কোনো তথ্য বা ছবি শেয়ার করবেন না যার অপপ্রয়োগ সহ্য করতে আপনি অক্ষম।


পণ্য

  • নিজে ব্যবহার না করে কোনো পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেবেন না। আপনার বেলায় যা কাজে দিয়েছে অন্যের বেলায় তা নাও দিতে পারে, এটাও বলে দেবেন।

  • বিলাসদ্রব্যের প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন। আপনার ব্যবহৃত পণ্যের সোয়াচ পোস্ট করতে পারেন- যেটাতে গ্রুপের সদস্যদের উপকার হয়।

  • কোনো প্রসাধনী কিংবা ডায়েটের পরামর্শ দেওয়ার সময় পরামর্শদাতা তার বর্তমান দেশের নাম উল্লেখ করে দিবেন। সব দেশের আবহাওয়া এক নয়, তাই সব উপকরণ বা খাবার যেমন পাওয়া সম্ভব নয়, তেমনি এক দেশের আবহাওয়ায় যা সহ্য হয় , অন্য দেশের আবহাওয়ায় তাই বিপরীত ফলাফল দিতে পারে|

  • রঙ ফর্সাকারী পণ্য খুঁজবেন না, খুঁজে দেবেন না। বর্ণবৈষম্যকারী সব মতামত, পণ্য, প্রচারণার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থাকবে আমাদের।

  • এই গ্রুপে কেনাবেচা, বিজ্ঞাপন, রিভিউ, জরিপ, ভোট চাওয়া একদম নিষেধ। তার জন্য হুটহাট নামে আলাদা গ্রুপ আছে আমাদের। সেখানে যোগ দিতে পারেন। লিংক- https://www.facebook.com/groups/hoot.haat/

  • 'এই জিনিস কোথায় পাবো' বা 'এই জিনিসটা কেউ দিতে পারবেন' জাতীয় পোস্টগুলো হুটহাটে দিন।

যোগাযোগ:
  • আপনার পোস্ট অ্যাপ্রুভ না করা হলে হাওয়াইমিঠাই পেইজে মেসেজ দিয়ে কারণ জানতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে পোস্টের স্ক্রিনশট জুড়ে দেবেন মেসেজের সঙ্গে।
  • আপনার পরিচিত কেউ গ্রুপে যোগদান করতে ইচ্ছুক হলে তাকে বলুন হাওয়াইমিঠাই পেইজে মেসেজ দিয়ে আপনার রেফারেন্স দিয়ে কোড সংগ্রহ করতে, তারপর এই গ্রুপে জয়েন রিকোয়েস্ট পাঠাতে।


'মেয়ে' একটি কমিউনিটি। 'মেয়ে'র সব উদ্যোগের পেছনে অবশ্যই কোনো গঠনমূলক সামগ্রিক অর্জন থাকতে হবে। একজনের আলোচনায় যেন অন্যরা উপকৃত হই, তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে যেন আমরা সমৃদ্ধ হই এ ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রুপের আবহ রক্ষা করতে যেকোনো সময় নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে, পোস্ট ও কমেন্ট মুছে দেওয়া হতে পারে এবং মেম্বার রিমুভ করা হতে পারে। গ্রুপের আবহ বজায় রাখতে সবাই সহযোগিতা করুন। :)

Sunday, October 15, 2017

মেয়ে (a sisterhood) গ্রুপের পরিচিতি ও আচরণবিধি

সিস্টারহুড (by Meye Network) হলো মেয়ে নেটওয়ার্কের সাপোর্ট গ্রুপ। গ্রুপের সকল সদস্য পুরো নেটওয়ার্ক এবং এর আচরণবিধি সম্পর্কে ধারণা রাখবেন। অন্যথায় পোস্ট, কমেন্ট কিংবা সংশ্লিষ্ট সদস্যকে রিমুভ করা হতে পারে। সকল বিধিনিষেধ সকল সদস্যের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

মেয়ে নেটওয়ার্ক (মেয়ে) কী?
মেয়ে নেটওয়ার্ক বাংলাভাষী নারীদের একটি নারীবাদী গ্রাসরুটস সংগঠন। এটি আমাদের ভাবনার সূতিকাগারকর্মযজ্ঞের মঞ্চবন্ধুতার উঠোন। সিস্টারহুডসন্ধি, রাঙতা এবং অগ্নি যথাক্রমে মেয়ের সাপোর্ট গ্রুপওয়েলফেয়ার প্রকল্প, উদ্যোক্তা প্রকল্প এবং গবেষণা প্রকল্প। মেয়ে” সম্পূর্ণ অলাভজনক এবং অরগানিক। 

অগ্নি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়ে নেটওয়ার্কের কী সম্পর্ক?
OGNIE Foundation Bangladesh মেয়ে নেটওয়ার্কের প্যারেন্ট অরগানাইজেশন। অগ্নি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত। মেয়ে নেটওয়ার্ক তার অন্যতম প্রকল্প যা বাংলাভাষী নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ সৃষ্টি ও রক্ষা করতে কাজ করে।

সিস্টারহুড (by Meye Network) কী?
সিস্টারহুড মেয়ে নেটওয়ার্কের একটি সাপোর্ট গ্রুপ যেখানে মেয়েরা আড্ডা দেয়নিজেদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করেপ্রয়োজনে পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়ায়। সিস্টারহুড (by Meye Network) এই সাপোর্ট গ্রুপের ফেসবুক শাখা যেটি অনলাইন নেটওয়ার্কিং এবং আইডিয়াবাজির জন্য ব্যবহৃত হয়।

মেয়ে নেটওয়ার্ক/মেয়ে পেইজ কী?
মেয়ে পেইজ মেয়ে নেটওয়ার্কের ফেসবুক মুখপাত্র। আমাদের কাজ ও চিন্তা নেটওয়ার্কের বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ারনারীপুরুষ নির্বিশেষে সকল জেন্ডারের মানুষের সাথে ভাবনার মিথস্ক্রিয়ার কাজ করে মেয়ে পেইজ। এছাড়া মেয়ে পেইজ সিস্টারহুড ও তার শাখা গ্রুপগুলোর কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পেইজের লিংক - https://www.facebook.com/meyenetwork/

মেয়ে নেটওয়ার্কের শুরুটা কীভাবে হলোসিস্টারহুডের শুরুটা হলো কীভাবে?
২০১১'র ২৫ জুন তারিখে চেনাজানা মেয়েদের নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য খুবই আটপৌরেভাবে "মেয়ে" নামে দলটির পত্তন করেন তৃষিয়া নাশতারান। আস্তে আস্তে সেটি সমমনা নারীদের একটি সংরক্ষিত আড্ডার রূপ নেয়। সেখান থেকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু সামাজিকসাংস্কৃতিকউন্নয়নমূলক উদ্যোগ নেওয়া হয় যেগুলো অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে। সংরক্ষিত দলটির এই গঠনমূলক অগ্রগতি থেকে উৎসাহিত হয়ে আরো বড় পরিসরে মেয়েদের নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জুন তারিখে সিস্টারহুড (by Meye Network)-এর যাত্রা শুরু হয়। মেয়ে নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে। (গ্রুপে যোগ দেওয়ার পরে দেখতে পাবেন)।

মেয়ে নেটওয়ার্কের অনলাইন অংশের মৌলিক কাঠামো এটা। এখানে যেই গ্রুপগুলো দেওয়া আছে সেগুলোতে আপনারা নিয়ম অনুযায়ী জয়েন রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যোগ দিতে পারবেন। প্রতিটি গ্রুপের ABOUT/DESCRIPTION অংশে নিয়মের লিংক দেওয়া আছে। নিয়ম পড়ে সংশ্লিষ্ট পেইজে মেসেজ দিয়ে আলাপ করবেন।





কাদেরকে সিস্টারহুডে যোগ করা যাবে? সদস্য যোগ করার পদ্ধতি কী?
  • শুধুমাত্র আপনার পরিচিত নারীদেরকে সিস্টারহুডে যোগ করতে পারবেন। কোনো পুরুষকে এখানে যোগ করবেন না।
  • যাকে যোগ করবেন তাকে নিয়ম পড়তে দেবেন এবং তার সম্মতি নেবেন।
  • তাকে গ্রুপে যোগ করার পরে তিনি চারটি প্রশ্ন পাবেন। তাকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বলবেন। 
  • এই পুরো প্রক্রিয়ায় গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে সহযোগিতা করবেন।


সিস্টারহুডের প্রাইভেসি কেমনগ্রুপের পোস্ট কি গ্রুপের বাইরে কেউ দেখতে পায়?
  • এটি একটি ক্লোজড গ্রুপ। গ্রুপের সদস্য নয় এমন কেউ গ্রুপের পোস্ট দেখতে পারার কথা না।
  • মনে রাখবেনঅনলাইনে প্রাইভেসি বলতে আসলে কিছু নেই। হাজার যাচাইবাছাই করেও শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় যদি সদস্যরা সচেতন না হন। হাজার হাজার সদস্যের একটি গ্রুপে সবার সচেতনতার নিশ্চয়তা দেওয়া অসম্ভব। প্রাইভেসি নিশ্চিত করার প্রথম ধাপ হলো নিজের প্রোফাইলের প্রাইভেসি ঠিক রাখা। ব্যক্তিগত ছবিতথ্য পাবলিক রেখে কিংবা বন্ধু/বয়ফ্রেন্ড/হাজবেন্ডের সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করে আপনি নিজের সাথে সাথে অন্যের প্রাইভেসিও হুমকির মুখে ফেলছেন। তাই সচেতন থাকুন। নিজের এবং অন্যের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।
  • তথ্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এমন কোনো তথ্য শেয়ার করবেন না যার অপপ্রয়োগ সহ্য করতে আপনি সক্ষম নন। খুব ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল আলাপের জন্য গ্রুপের নির্ধারিত বেনামি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন।
  • গ্রুপের আলাপ যেন গ্রুপের বাইরে না যায় এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকুন।
  • মেয়ে নেটওয়ার্কের শাখা ছাড়া অন্য গ্রুপের আলাপ এই গ্রুপে আনবেন না।
  • গ্রুপের সদস্য নয় এমন কারো ছবি বা গল্প গ্রুপের মধ্যে শেয়ার করার আগে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে নিন। অনুমতি নেওয়ার সুযোগ না থাকলে ছদ্মনাম ব্যবহার করুন। স্ক্রিনশটে নাম,      চেহারা ঘোলা করে দিন।
  • গ্রুপের বাইরে গ্রুপ বা সংশ্লিষ্ট কিছু নিয়ে কটূক্তি করাকে গ্রুপের সদস্যদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ গণ্য করা হবে।
  • সদস্যদের প্রাইভেসি বিষয়ক সমস্যা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে গণ্য হবে এবং তা ব্যক্তিগত পর্যায়েই মীমাংসা করতে হবে। এর সাথে গ্রুপকে জড়ানো যাবে না। (প্রাইভেসির বিধিনিষেধ শিশু এবং সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)

প্রকাশ্যে মনের কথা বলতে সংকোচ বোধ করলে কী করবেন?
নিজের পরিচয় আড়াল করে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য নির্ধারিত বেনামি অ্যাকাউন্ট আছে আমাদের। বেনামি আইডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিংক অনুসরণ করুন (গ্রুপে যোগ দেওয়ার পরে দেখতে পাবেন)।

গ্রুপে যা যা বারণ
  • ব্যক্তিআক্রমণ: ব্যক্তিগত রেষারেষি গ্রুপে টেনে আনবেন না। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন। ঝগড়া নয়যুক্তি দিয়ে তর্ক করুন।
  • জাজমেন্টাল মতপ্রকাশ: ধর্মবর্ণশারীরিক বৈশিষ্ট্যসেক্সুয়ালিটি ইত্যাদি যেসব বিষয় ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন নয় সেগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিচার করবেন না। এই বিধিনিষেধ পাবলিক ফিগারদের ব্যাপারেও প্রযোজ্য। আমাদের বেনামি পোস্টে জাজমেন্টাল ভাবনাঅসংবেদনশীল মতামতমোরাল পুলিসিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • প্রাইভেসি লঙ্ঘন: গ্রুপ থেকে পাওয়া কোনো তথ্য বিনা অনুমতিতে গ্রুপের বাইরে প্রকাশ করবেন না কিংবা গ্রুপের সদস্য নয় এমন কারো ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি গ্রুপে প্রকাশ করবেন না।
  • ধর্মপ্রচারধর্মীয় কলহ: ধর্ম একান্ত ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল একটি ব্যাপার। পরস্পরের বিশ্বাসকে সম্মান করুন। গ্রুপকে ধর্মপ্রচারের কাজে ব্যবহার করবেন না। ধর্মীয় বিশ্বাসকে ভিত্তি করে কলহে জড়াবেন না। [ধর্মীয় আলাপের জন্য আমাদের ধর্মমত নামের গ্রুপে যোগ দিতে পারেন]
  • ফ্লাডিং: ফ্লাডিং মানে মুহুর্মুহু পোস্টের বন্যা বইয়ে দেওয়া। নিজের পোস্ট দিয়ে গ্রুপের ওয়াল ভরিয়ে ফেলবেন না। সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিন। একজন সদস্য দিনে সর্বোচ্চ দুইটা পোস্ট দিতে পারবেন।
  • হোক্স ছড়ানো: হোক্স মানে মিথ্যে তথ্য। ইন্টারনেটে এমন অনেক হোক্স ঘুরেফিরে বেড়ায়। গ্রুপে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে যাচাইবাছাই করে সত্যতা নিশ্চিত করে নিন।
  • অর্থহীন কমেন্ট করা: নোটিফিকেশন পেতে কেউ কেউ কেউ F, . ইত্যাদি অর্থহীন কমেন্ট করেন। এ ধরনের কমেন্ট দেখামাত্র মুছে দেওয়া হবে। পুনরাবৃত্তি ঘটলে সদস্যকে রিমুভ করা হবে। নোটিফিকেশন পেতে হলে পোস্টের উপরে ডান কোনায় Turn on notification for this post-এ ক্লিক করুন।
  • কেনাবেচাবিজ্ঞাপন: কেনাবেচাবিজ্ঞাপনের জন্য "হুটহাটগ্রুপটি খোলা হয়েছে। সেখানে নির্দ্বিধায় কেনাবেচা/লেনদেন/আত্মপ্রচার করুন। কোনো পণ্যের খোঁজখবর, রিভিউ বিষয়ক পোস্টও এই আওতায় পড়বে। পাকিস্তানিরেপ্লিকা পণ্যের ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে পরিহার্য। ভারতীয় পণ্যের ব্যবসাও উৎসাহিত করা হবে না।
  • অস্বস্তিকর ছবি/ভিডিও পোস্ট করা: অন্যের মনে চাপ সৃষ্টি করতে পারেঅস্বস্তি জাগাতে পারে এমন ছবি বা ভিডিও পোস্ট করবেন না। নিতান্তই পোস্ট করতে হলে পোস্টের শুরুতে সতর্ক করে দেবেন। মূল পোস্টে ছবি/ভিডিও না দিয়ে পোস্টের কমেন্টে দেবেন।
  • অপ্রাসঙ্গিক ছবি পোস্ট করা: আপনার যদি মনে হয় কোনো পোস্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ছবি যোগ করা প্রয়োজনসেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ছবি দিন।
  • গ্রুপে চিকিৎসা চাওয়া/দেওয়া: গ্রুপে চিকিৎসকের খোঁজ করতে পারেন। চিকিৎসার নয়। কোনো ডাক্তার চিকিৎসাবিষয়ক সহযোগিতায় আগ্রহী হলে নিজ দায়িত্বে ইনবক্সে আলাপ করুন। ডাক্তার নন এমন কেউ কখনোই চিকিৎসাবিষয়ক পরামর্শ দেবেন না।
  • অন্যের ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা: অন্যের ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। কোনো আলোচনা বা গল্পের সাথে নিজের একাধিক ছবি শেয়ার করার প্রয়োজন বোধ করলে কোলাজ আকারে দিনযাতে আপনার ছবিতে গ্রুপের ওয়াল ভরে না যায়। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
  • ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা: ঠিকানাফোন নাম্বার ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্য গ্রুপে প্রকাশ্য রাখবেন না। চেক-ইন করে নিজের অবস্থান জানাবেন না।
  • দাম্পত্য তথ্য শেয়ার করা: দাম্পত্য সমস্যাযৌনতা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। দাম্পত্য আলাপের সূত্রে এমন কোনো তথ্য শেয়ার করবেন না যাতে আপনার সঙ্গীর প্রাইভেসি লঙ্ঘিত হয়।
  • আপত্তিকর ব্যক্তি বা পেইজের পোস্ট লাইক/শেয়ার করা: আপনি কী লাইক করেনকী শেয়ার করেন তা আপনার চিন্তাভাবনাদৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। আপত্তিকর ব্যক্তি ও পেইজের তালিকা পাবেন গ্রুপে। এসব ব্যক্তি বা পেইজের পোস্ট গ্রুপে শেয়ার করবেন না। নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করলেও আপনাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ/ব্যান করা হতে পারে। আপত্তিকর ব্যক্তি বা পেইজের ব্যাপারে সচেতন করতে চাইলে পাবলিক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করবেন। লিংক শেয়ার করবেন না।
  • দ্বিমুখী আচরণ: গ্রুপের বাইরে যদি আপনার এমন কোনো আচরণের প্রমাণ পাওয়া যায় যা আমাদের আদর্শের পরিপন্থী, সেক্ষেত্রে আপনাকে মেয়ে নেটওয়ার্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
  • টাইমলাইনের পোস্ট গ্রুপে কপিপেস্ট করা: নিজের বা অন্যের টাইমলাইনের পোস্ট শেয়ার করতে চাইলে মূল পোস্ট শেয়ার করবেন। কপিপেস্ট করবেন না।
  • মেটা-পোস্টিং: কোনো পোস্টের প্রতিক্রিয়ার নতুন পোস্টের অবতারণা করবেন না। কমেন্টের শব্দসীমা অতিক্রম না করলে সংশ্লিষ্ট পোস্টেই আলাপ করুন।
  • পোস্ট মুছে দেওয়া, কমেন্ট বন্ধ করা: নিজের কোনো পোস্ট মুছে দিতে চাইলে বা কমেন্ট বন্ধ করতে চাইলে মেয়ে পেইজে মেসেজ দিয়ে আলাপ করুন।
  • পাত্র/পাত্রীর সন্ধান: পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করার জন্য মেয়ে নেটওয়ার্কের কোনো গ্রুপ বা প্রকল্পই সঠিক জায়গা নয়।


যেসব ক্ষেত্রে কিছুটা খেয়াল রাখতে অনুরোধ করা হয়
  • বাংলিশে লেখালেখি: বাংলায় লিখলে সবথেকে ভালো হয়। ইংরেজিও চলবে। বাংলিশ পোস্ট গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলিশে কমেন্ট লিখলে চেষ্টা করুন সেটা সংক্ষিপ্ত এবং পাঠযোগ্য রাখতে।
  • নিজের ছবি শেয়ার করা: প্রাসঙ্গিক না হলে নিজের ছবি শেয়ার করবেন না। ছবির সাথে ছবির পেছনের গল্প যেন লেখা থাকে। একাধিক ছবি শেয়ার করতে হলে কোলাজ করে দেবেন। একই ধরনের একাধিক ছবি দেবেন না।
  • সাজগোজরান্নাবান্না, কেনাকাটা, অনুসন্ধান ইত্যাদি: এসব নিত্যনৈমত্তিক, বৈষয়িক আলাপের জন্য আমাদের একটি গ্রুপ আছে হুটহাট নামে। সেখানে যোগ দিতে রাঙতা পেইজে মেসেজ করুন।
  • অ্যাডমিন/মডারেটরদের ইনবক্স করা: গ্রুপ এবং নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে অ্যাডমিন/মডারেটরদের ইনবক্সে মেসেজ পাঠাবেন না। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেইজে মেসেজ পাঠাবেন।
  • পোস্টে ক্যাপশন যুক্ত করা: গ্রুপে কোনো লিংক বা ছবি শেয়ার করতে হলে তার সাথে কিছু বর্ণনা লিখে দেবেন যা পড়ে ওই লিংক/ছবি সম্পর্কে আপনার মনোভাব বোঝা যায়। ক্যাপশনবিহীন পোস্ট মুছে দেওয়া হতে পারে।

যেসব ক্ষেত্রে অ্যাডমিনের অনুমোদন লাগবে (অনুমোদনের জন্য মেয়ে পেইজে মেসেজ পাঠাবেন)
  • লাইক/ভোট চাওয়া, জরিপ করা: কোনো কারণে লাইক বা ভোট চাইতে হলে, কিংবা জরিপ চালাতে হলে অনুমতি নিন। লাইক বা ভোটের জন্য সদস্যদেরকে ইনবক্সে বিরক্ত করবেন না।
  • তথ্য সংগ্রহ করা: ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গ্রুপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে পেইজে মেসেজ দিয়ে অনুমতি নিন। আপনার প্রয়োজন 'মেয়ে'র সাথে সাংঘর্ষিক কি না তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হবে।
  • সদস্য সংগ্রহ করা: 'মেয়ে'র নিজস্ব উদ্যোগ নয় এমন যেকোনো উদ্যোগের জন্য গ্রুপ থেকে সদস্য/স্বেচ্ছাসেবী খুঁজতে হলেকিংবা নতুন গ্রুপ বানাতে চাইলে পেইজে মেসেজ দিয়ে জানান। আপনার উদ্যোগ 'মেয়ে'র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হবে।
  • ডক/অ্যালবাম/ইভেন্ট খোলা: কোনো প্রয়োজনে ডক/অ্যালবাম/ইভেন্ট খুলতে হলে জিজ্ঞেস করে নিন।
  • প্রচারণা: আপনার কোনো কাজ সম্পর্কে প্রচারণার প্রয়োজন হলে পেইজে মেসেজ দিয়ে জানান। প্রয়োজনে অ্যাডমিন আপনার হয়ে পোস্ট দেবেন।
  • ব্যবসায়িক আলোচনা: নিজের কাজ শেয়ার করা বা অন্যদের সাথে আলোচনা করার আগে পেইজে মেসেজ দিয়ে আলাপ করে নিন।
  • অর্থনৈতিক লেনদেন: কোনো কাজে গ্রুপে অর্থ সংগ্রহ করতে হলেযেকোনো আর্থিক যোগাযোগে গ্রুপের কোনোরকম সহযোগিত নিতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণসহ পেইজে মেসেজ দিয়ে অনুমতি নিন। এসব ক্ষেত্রে কীভাবে পোস্ট দেবেন সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে অ্যাডমিন নিজে আপনার হয়ে পোস্ট দেবেন। বিনা অনুমতিতে পোস্ট দিলে সেটা মুছে দেওয়া হতে পারে।

গ্রুপের মেয়েদের অনেকের অনেক গল্প আছে। এগুলো গ্রুপের বাইরে শেয়ার করা যাবে?
বিনা অনুমতিতে গ্রুপের আলাপ গ্রুপের বাইরে শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ তার গল্প স্বনামে বা বেনামে পোস্ট করলে সেটা তার অনুমতিক্রমে আমাদের মেয়ে পেইজে বা ব্লগে দেওয়া হয়। সেখান থেকে গল্প শেয়ার করা যাবে। কেউ নিজের গল্প আমাদের পেইজে বা ব্লগে দিতে চাইলে স্মিতা দাস কিংবা নাফিসা তানজীম নিপুণকে ট্যাগ করে জানাবেন। আমাদের পেইজ বা ব্লগে প্রকাশিত লেখা ১৬৮ ঘণ্টা (৭ দিন) পর্যন্ত অনন্য থাকতে হবে। মানে তার আগে অন্য কোনো পেইজপত্রিকা বা ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না।

এই গ্রুপের কথা বাইরে প্রচার করা যাবে?
অবশ্যই যাবে। তবে অনুমতিসাপেক্ষে। এই গ্রুপ থেকে কোনো তথ্য গ্রুপের বাইরে ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই তথ্যদাতা ও অ্যাডমিনদের অনুমতি নেবেন (পেইজে মেসেজ দিয়ে)। গ্রুপ থেকে উপকৃত হলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবেন।

কীসের ভিত্তিতে মেম্বার রিমুভ/ব্যান করা হবে?
কোনো প্রোফাইল ফেইক কিংবা ব্যবসায়িক বোঝামাত্র রিমুভ করা হবে। এছাড়া দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়তার কারণেগ্রুপের নিয়মভঙ্গের কারণেগ্রুপের ভেতরে বা বাইরে আপত্তিকর আচরণের কারণে কিংবা সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে সদস্যদের রিমুভ/ব্যান করা হয়। তবে অভিযোগ করলেই যে মেম্বার রিমুভ/ব্যান করা হবে তা নয়। গ্রুপের আবহ বজায় রাখতে এ ধরনের হাউজকিপিং আলাপ গ্রুপে প্রকাশ্যে করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

কোনো পোস্ট বা কমেন্টের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে কী করবেন?
কোনো পোস্ট বা কমেন্টের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করলে আপনার সুগঠিত মতামত জানান। যুক্তিতর্কে জড়াতে না চাইলে পোস্ট হাইড করুনএড়িয়ে যান। কোনো পোস্ট আপত্তিকর মনে করলে পোস্টের উপরে ডান কোনায় Report to Admin অপশনে ক্লিক করে রিপোর্ট করুন। কোনো কমেন্ট আপত্তিকর মনে হলে অ্যাডমিন ও মডারেটরদের ট্যাগ করে দিন। কোনো অবস্থাতেই কাউকে আঘাত করে কিছু বলবেন না। কারা অ্যাডমিন/মডারেটর সেটা জানতে এই লিংকে যান। গ্রুপ বিষয়ক আলাপে অ্যাডমিন বা মডারেটরদের ব্যক্তিগত ইনবক্সে মেসেজ পাঠাবেন না।

কোনো সদস্যের ব্যাপারে আপত্তি/অভিযোগ থাকলে কী করবেন?
কোনো সদস্যের আচরণে বা কাজে অসন্তোষ থাকলে প্রথমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলাপ করে সুরাহা করার চেষ্টা করবেন। তাতে কাজ না হলে প্রমাণসহ মেয়ে পেইজে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। কোনোভাবেই কাউকে যেন আক্রমণ করা নাহয়হেয় প্রতিপন্ন করা নাহয় সে ব্যাপারে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।

আপনার পোস্ট অ্যাপ্রুভ না করা হলে কী করবেন?
সাধারণত উল্লিখিত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করার কারণে পোস্ট অ্যাপ্রুভ করা হয় না। আপনার পোস্ট অ্যাপ্রুভ না করা হলে মেয়ে পেইজে মেসেজ দিয়ে কারণ জানতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে পোস্টের স্ক্রিনশট জুড়ে দেবেন মেসেজের সঙ্গে।

মেয়ের স্বেচ্ছাসেবী হতে চাইলে কী করতে হবে?
আমাদের ইভেন্টক্যাম্পেইনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনার নিজস্ব কোনো আইডিয়া থাকলে সেটা গ্রুপে পোস্ট দিয়ে কিংবা পেইজে মেসেজ দিয়ে জানাবেন। আমরা সবাই মিলে সেটা নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারি।

মেয়ের বন্ধু সংগঠন হওয়ার উপায় কী?
নিজস্ব উদ্যোগের বাইরে যেসব উদ্যোগ বা সংগঠনের সাথে মেয়ে নেটওয়ার্ক কাজ করে তাদেরকে আমরা বন্ধু সংগঠন বলি। 'মেয়ে'র বন্ধু হতে চাইলে 'মেয়েপেইজে মেসেজ দিয়ে আলাপ করতে হবে। আপনার উদ্যোগ/সংগঠন 'মেয়ে'র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা বিবেচনা করে বন্ধুত্ব স্থাপন করা হবে। বন্ধুত্বের পরিধি আলোচনাসাপেক্ষ। এনজিও কিংবা দাতাসংস্থানির্ভর কোনো সংগঠনের সাথে আমরা বন্ধুত্ব স্থাপন করি না।

সবশেষ কথা
মেয়েকে নিজের মনে করুন। নিজের কাণ্ডজ্ঞান ব্যবহার করুন। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল থাকুন। দায়িত্ব নিন। নিজেকে মেয়ের অংশ করে তুলুন।